পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে শৌলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কিশোরীর কুমকুম আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কুমকুম পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। তবে কি কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।

পটুয়াখালীর বাউফলের একটি ইউনিয়নের দুটি স্থান থেকে কিশোরী ও তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ মার্চ) উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা গ্রাম ও ডালিমা ব্রিজ সংলগ্ন গুচ্ছ গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
তারা হলেন- শৌলা গ্রামের কাঞ্চন খাঁ বাড়ির নজরুল খানের মেয়ে কুমকুম আক্তারের লাশ (১৪) ও ডালিমা ব্রিজ সংলগ্ন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম (২২)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে শৌলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কিশোরীর কুমকুম আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কুমকুম পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। তবে কি কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
এর আগে ভোরে একই ইউনিয়নের ডালিমা ব্রিজ সংলগ্ন গুচ্ছগ্রাম থেকে জাহিদুল ইসলাম (২২) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে সেহেরি খেয়ে নামাজ আদায় করতে বের হন জাহিদুল। সকাল ৭টার দিকে পরিবারের লোকজন ঘরের পেছনে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় জাহিদুলকে দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মাত্র পাঁচ মাস আগে বিয়ে করেন জাহিদুল। তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাশ দুটি উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে।’