বকশীগঞ্জ থানার ধারার চর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে হত্যার হুমকি অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মোঃ আহাম্মদ আলী ওরফে সুজা মিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে

বকশীগঞ্জ থানার ধারার চর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে হত্যার হুমকি অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মোঃ আহাম্মদ আলী ওরফে সুজা মিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে। 

গত বুধবার (১২ মার্চ ) দুপুর আনুমানিক ১ ঘটিকায় বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ধারার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 
ভুক্তভোগীরা হলেন,মোঃ দুলাল মিয়া (৪৫) ও গোলাম রসুলের পরিবার ।
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মোঃ আহাম্মদ আলী ওরফে সুজা মিয়া (৭০) মোঃ আবুল হোসেন ওরফে আবুল কাশেম (৬৫) মজুরুল হক জনি (৩২) মোঃ লুৎফর রহমান (৫৩) মোঃ ফারুক মিয়া (৩৩) মোঃ সাজিদুল হক ওরফে স্বপন (২৮)
ভূক্তভোগীরা বলেন , আমরা দিনমজুর সহজ সরল লোক। অপর দিকে আসামীরা এলাকার কলহ প্রিয়, পরের সম্পদ লোভী এবং উশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। ১ ও ২নং আসামীদ্বয় আমাদের নিকট ৬১ শতাংশ জমি বিক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আমি আমার পরিবারের সহিত আলোচনা করিয়া অতিকষ্টে টাকা সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে ইং ২১/১০/২০১৯ তারিখ দুপুর অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময় বকশীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে দলিল লেখক হুমায়ুন কবিরের উপস্থিতে সাক্ষীদের মোকাবেলায় নগদ ১২,২০,০০০ (বার লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ১ ও ২নং আসামীদ্বয় অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় টাকা গ্রহণ করে। আসামীরা টাকা নেওয়ার পর সম্পাদন দলিল করিয়া দিলেও জমি রেজিস্ট্রি করিয়া না দিয়া বিভিন্নভাবে তালাবাহানা করিতে থাকে। উক্ত জমি বর্তমানে আমাদের ভোগ দখলে ও চাষ আবাদ করেছি । জমি রেজিস্ট্রি করিয়া চাইলে আসখমীদ্বয় আমাদেরকে বলে আমরা জমিতে হামলা করিয়া চাষাবাদ নষ্ট করিয়া তদেরকে দখলি জমি থেকে বিতাড়িত করিব। তাই আমি কোন উপায় না পাইয়া আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ফোজদারী মোকদ্দমা দায়ের করি, মোকদ্দমা নং ১১৬ (১)২০২৫ দন্ডবিধি ১৮৬০ সালের আইনে ধারা ৪০৬/৪২০/১০৯ ধারা। উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালত জামালপুর পিবিআইকে তদন্তভার দেন। পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করিয়া সরেজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া আমাদের দায়ের করা মামলা তদন্ত করেন। সাক্ষীদেরকে সহ বকশীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আসিয়া দলিল লেখক হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া ঘটনার সভ্যতা পান। পিবিআই তদন্ত করিয়া চলিয়া যাওয়ার পর আসামীরা আরো উত্তেজিত হইয়া উঠে। 
ভুক্তভোগী মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, আসামীরা ঘটনার তারিখ ও সময় আমার ভাই গোলাম রসুলের বাড়ীর সীমানায় যাইয়া আমাদেরকে না পাইয়া বাড়ীর মহিলাদেরকে এই বলিয়া হুমকি দিয়া আসে আমাদেরকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে। আমাদের হাত পায়ের রগ কাটিয়া দিবে। আমাদেরকে রাস্তা ঘাটে পাইলে হাত পা বাইরাইয়া ভাঙ্গিয়া দিবে। আমাদেরকে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দিবে না। যেকোন সময় যেকোন ধরনের অঘটন ঘটাইয়া বড় ধরনের ক্ষতি করিবে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়া জেল হাজত বাস করাইবে। আসামীরা জনবলে বলিয়ান। 
তিনি আরো বলেন, আসামীরা লাঠি সোটা সংগ্রহ করিতেছে আর বলিতেছে আমরা যদি জমি রেজিষ্ট্রির বিষয়ে কোন কথা বলি তাহলে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করিয়া আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাইয়া বড় ধরনের ক্ষতি করিবে। আমরা বর্তমানে আসামীদের ভয়ে আতংকে এবং নিরাপত্তহীনতায় ভূগিতেছি।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।