যেসব জমিতে রবি শস্য আবাদ হয়নি সে সব জমিতে বোরো ধান, দেশি কাচা মরিচ ও
মুখ ডাল চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন দশমিনা উপজেলার গুলি আউলিয়াপুর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান। তার এ কাজে সহযোগীতা করে
আসছেন পরিবারের অণ্য সদস্যরাও। তবে ধান,ডাল মরিচের ন্যায্য দাম নিয়ে শস্কায় এ
শিক্ষক চাষি।
শস্যভান্ডার নামে খ্যাত তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গা নদীর তীরবর্তী পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা। চলছে বোরো ধান, দেশি কাচা মরিচ ও মুখ ডাল পরিচর্যা। তবে সরকারি ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পযন্ত মাঠে কাজ করছেন এক শিক্ষক চাষী আবদুর রহমান।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এবছর উপজেলায় ৬৬০হেক্টর জমিতে মরিচ, ১১৫০হেক্টর
জমিতে মুগ ও ২৭শত ৬০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করা
হয়েছে। তবে কৃষি অফিসের পরামর্শে একখণ্ড জমিও পতিত রাখতে চান না তারা।
ফসলের মাঠ জুড়ে রোদ আর বাতাসে ঝলমল করছে ধান, ডাল ও মরিচ ক্ষেত। চলতি
মৌসুমে সব ধরনের কৃষি পন্যের দাম বাড়ার কারনে উৎপাদন খরচ বেড়েছে বলে দাবী ঐ চাষীর। এছাড়াও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শস্কায় রয়েছে এ শিক্ষক চাষির। প্রতিবেশী এক নতুন চাষী বলেন, স্যারের দেখাদেখি আমিও বোর ধান, মরিচ ও ডাল চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভবান
হবো। কৃষি অফিস আমাদের নিয়োমিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি কাজে ৭ থেকে ৮ বছর পুর্বে নিয়োজিত আছি। কৃষি করতে আমার বেশ আনন্দ লাগে। চাকরির পাশাপাশি আমি অবসর সময়টুকু কৃষি কাজে লাগাই। এতে আমি ভালোই লাভোবান
হই। বললেন আব্দুর রহমান, শিক্ষক কৃষি উদ্যোক্তা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ জাফর আহমেদ বলেন, সরকারি প্রণোদনার আওয়তায় উপজেলায় প্রায় ২ হাজার কৃষককে সার ও বীজ দিয়েছি। মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। আর ধান উৎপাদন কমে গেলে খাদ্য
ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সে হিসাবে এ উপজেলায় গত বছরের চেয়ে বোর ধান, মরিচ ও মুখ ডাল আবাদ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্বব হবে। বাজারে ধান,ডাল ও
মরিচ বিক্রিতে চাষিরা ন্যায্য মূল্য পেলে দিন দিন বোর ধার আবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।