ধামরাইয়ে গোপাল সরকার নামে মহাজনের বিরুদ্ধে পাওনা টাকা না পেয়ে গোপাল বাকালি নকুল (৫০) নামে এক ব্যাক্তির পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ধামরাই পৌরসভার আমিন মডেল টাউনে এমন ঘটনাটি ঘটে। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারী) এই ঘটনায় ভুক্তভোগির স্ত্রী নিপা সরকার বাদী হয়ে ধামরাই থানায় ১ জনের নামসহ অজ্ঞাত একাধিক ব্যাক্তিকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমির দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
      ভুক্তভুগি গোপাল বাকালি নকুল মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি গ্রামের শ্রীধাম বাকালির ছেলে। গোপাল বাকালির স্ত্রী সহ তিন সন্তান নিয়ে ধামরাই আমিন মডেল টাউন এলাকায় সাইদুজ্জামান লিমনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গোপাল বাকালি পাইলস ও ক্লোন ক্যান্সাওে আক্রান্ত রোগী বলে জানান তার পরিবার।
   অভিযুক্ত গোপাল সরকার ধামরাই পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপাল বাকালির কাছে পাওয়ানা টাকার জন্য ঘুরতে ছিলেন।
      পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানান, গোপাল বাকালি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর কাঁচাবাজারে ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি মহাজন গোপাল সরকারের কাছে থেকে মালামাল ক্রয় করে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। পাওনা টাকা নিয়ে মহাজন গোপাল সরকার ও ভুক্তভোগীর মধ্যে দন্দ চলে আসছিল। পাওনা টাকার জন্য স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে গোপাল বাকালিকে ভয় ভীতি ও হত্যার হুমকি দিতো। মহাজন গোপাল সরকার টাকা আদায় করতে গোপাল বাকালির ভাড়া বাসায় গিয়ে চাপ দিতো। এরই জের ধরে গোপাল সরকারের সাথে থাকা লোকজন গোপাল বাকালিকে বিদ্যুৎএর তার গলায় পেচিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গোপাল বাকালির হাত পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে। বাসার আলমারির তালা ভেঙে স্বর্ণলস্কারসহ সব কিছু নিয়ে চলে যায়।
এই বিষয়ে ইসলামপুর এলাকার একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গোপাল সরকারের চরিত্র অনেক খারাপ। এর আগেও নারী সংক্রান্ত ঘটনায় তাকে আটক করেছিল লোকজন।
    গোপাল সরকারের আপন ভাই তাপস সরকার বলেন, আমার ভাই গোপাল লোক ভালো না। নারী ঘঠিত বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছে। ভাই হলেও এর আগে পিছে আমি বা আমার আতœীয় স্বজন কেউ যাবে না।
এ বিষয়ে গোপাল সরকারের বাড়িতে গিয়ে কাউকেই পাওয়া যায় নি এবং তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
    এ বিষয়ে গোপাল বাকালির স্ত্রী নিপা বাকালি বলেন, আমার স্বামী একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। মহাজন গোপাল সরকারের কাছে থেকে মালামাল ক্রয় করে বাইরে বিক্রি করে। মাত্র ১৭ হাজার পাওনা টাকার জন্য মহাজন গোপাল সরকার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি অফিসে থাকা অবস্থায় ফাঁকা বাড়ি ছিল। গোপাল সরকার আমার স্বামীকে একা পেয়ে প্রথমে বিদ্যুৎ এর তাড় গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আমার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। আমি এর সঠিক বিচার চায়।
  এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমির দাস বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।