রাঙ্গামাটির বাঘাছড়ি পৌরসভার ০২নং ওয়ার্ড পশ্চিম মুসলিম ব্লক এলাকার নুর আলীর দোকান সংলগ্ন ওমর ফারুকের চায়ের দোকানে টাকা দেনা পাওনা নিয়ে কলেজ পাড়ার মাছ বিপণন ও বিক্রয়কারী ব্যবসায়ী মোঃ উসমান গনির বড় ছেলে মোঃ মোশাররফ হোসেন (৩০) ও ছোট ছেলে মোঃ সুমন (২৪) দু’জনে মিলে পশ্চিম মুসলিম ব্লকের মোঃ বিল্লাল সওদাগরের বড় ছেলে মোঃ রিয়াদ (২২) নামে এক যুবকের সাথে ঝগড়া শুরু করে এবং পরবর্তী হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়াদ'কে সেই মোশাররফ পেটে চুরি দিয়ে ও মাথায় ফোনের গ্লাস দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক ভাবে আহত করে‌ ।

স্থানীয়রা ধরাধরি করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে বিরতিহীন রক্তক্ষরণের কারণে গুরুতর অবস্থায় বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক রিয়াদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রিলিজ করেন।
তৎক্ষণাৎ এম্বুলেন্স যোগে খাগড়াছড়ি নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

এবং ঘটনা সম্পর্কে‌ খবর পেয়ে বাঘাইছড়ি থানা পুলিশ, বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ওমর আলী ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রহমত উল্লাহ খাজা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত স্থানীয় সাধারণ জনতার হাত থেকে মোশাররফ ও সুমনকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে তারা পুলিশ পাহাড়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে এবং এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো কোন অভিযোগ হয়নি তবে আহত রিয়াদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।