রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সালিশে হামলার ঘটনায় অর্ধশতাধীক মানুষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার (১০) মার্চ) বালিয়াকান্দি থানায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেন তুহিনুর রহমান। মামলা সুত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া ঈদগা মাঠে প্রেমঘটিত, জমি দখল, মাছ লুট সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সালিশ বসে। সালিশে হামলায় নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, তার ভাই হুমায়ন কবির, ভাতিজা ফরহাদ মোল্যা, ছেলে রাশেদুল মোল্যা, দলীয় নাসির মন্ডল, আব্দুর রহিম, বাবলু, মনির, রফিকুল শেখ, ইলিয়াস সিকদার, সবুর সিকদার, নূরজাহান বেগম, রাজু মোল্লা, রিক্তা শিকদার, রেবেকা, নুরজাহান বেগমসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে বালিয়াকান্দি ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন খান সহ নেতাকর্মীরা তাদের দেখতে যান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলটাকাপোড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেনের মেয়ের সাথে একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে সাব্বির ২০২১ সালে প্রেম ভালোবাসা করে পালিয়ে চলে যায়। পরে আবার তারা বাড়ী ফিরে আসে এবং যার যার মা-বাবার কাছে চলে যায়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে পুনরায় তারা পালিয়ে নোটারী পাবলিক করে বিবাহ করে। এরপর মেয়ের বাবা ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে মেয়ের বাবার জিম্মায় গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বালিয়াকান্দি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গত ০৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮ টার সময় ছেলে-মেয়ে যোগাযোগ করে। ছেলেটি মেয়ের বাড়িতে আসে। তখন মেয়ের বাবা মোঃ আলমগীর হোসেন ও তার ভাই তুহিন, হুমায়ুন ও ছেলে রাশেদুল মিলে সাব্বিরকে আটক করে। তাকে বেধড়ক মারধর এবং একটি খেলনা পিস্তল সহ গাছের সাথে বেঁধে রাখেন। এ ঘটনার পর আলমগীরের দলীয় লোকজনের জমি দখল, পুকুর থেকে মাছ লুট ও গাছ কর্তন করে। এনিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা শালিসী বৈঠক বসান। ওই শালিস চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।