ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রত্যেকে যার যার ধর্ম পালন করবেন, এমনটা প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের সহনশীল আচরণ করতে হবে। আমাদের এই ভূখণ্ডে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবারই সমান অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। কাজেই অন্যের ধর্মে আঘাত দেওয়া মোটেই সমীচীন নয়। ইসলাম আমাদের সেই শিক্ষা দেয়নি। সেই কথাটি আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে চতুর্থ ধাপে সারা দেশে ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন। নতুন এসব মসজিদসহ প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ৫৬৪টির মধ্যে এ পর্যন্ত ২০০ মসজিদ উদ্বোধন করলেন। এর আগে তিনি প্রথম দফায় ২০২১ সালের ১০ জুন ৫০টি মসজিদ, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ৫০টি এবং তৃতীয় দফায় ১৬ মার্চ আরও ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন।

অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুন নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাকে যুক্ত করা হয় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মানুষ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কেউ যেন কলুষিত কতে না পারে— বক্তব্যকালে সেদিকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক— যারা সন্ত্রাস বা জঙ্গীবাদী কর্মকাণ্ড করে আমাদের শান্তির ধর্মটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বিপথে চলে যায়। এটা যাতে না হয় সেদিকে আমাদের সকলের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ ইসলামিক ভাবধারা নিয়ে তৈরি হবেন; যেন আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠেন সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এখান থেকে মানুষকে দূরে রাখার ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে।

ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। ইসলাম ধর্মের মর্মবাণী যেন দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচার ও প্রসারে কাজ করছি।’মডেল মসজিদ নির্মাণে সরকারের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২১ সালে প্রথম পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করি।ইসলাম ধর্মে সঠিক চর্চাটা যাতে হয় এবং ইসলাম ধর্মের মর্মবাণীটা মানুষ যাতে সঠিকভাবে জানতে, বুঝতে ও গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে এটা করা হয়েছে। এই মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের নামাজের ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধাদি সৃষ্টি। বিশেষ করে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ এবং সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিছু লোক যারা সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড করে আমাদের শান্তির ধর্মটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং বিপথে চলে যায়। এটা যাতে না হয় সেদিকে আমাদের সকলের বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।