এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর অভিযোগ ওঠেছে স্কুল শিক্ষকের ওপর।স্কুল কর্তৃক কেন্দ্রে পাঠানো নম্বরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক সচেতন অভিভাবক, এসএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল কাইয়ুম মো. উমর (১৭) এর মা।
এসএসসি পরীক্ষায় বেশিরভাগ বিষয়ে ৮০ এর ওপরে, কিন্তু নিজ বিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করা ৩টি বিষয়ে মার্ক নামমাত্র পাস । অপরাধ হচ্ছে স্কুলের শিক্ষকের পরিচালিত কোচিংয়ে ভর্তি না হয়ে প্রবাহ নামের অন্য একটি কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া। এভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বি.জি. সেনেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের মো. উমর ।ভালো কলেজে পড়ার স্বপ্ন এভাবে ভেঙে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন এই শিক্ষার্থী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাঠানো আইসিটিতে (ব্যাবহারিক) ২৫ এর মধ্যে ৮. শারীরিক শিক্ষায় ১০০ এর মধ্যে ৩৩ ও ক্যারিয়ার শিক্ষায় ৫০ এর মধ্যে ১৭ দেওয়া হয়েছে।অথচ অন্য বিষয়গুলোতে এ-প্লাস ও এ মানের নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
বিষয়টি মানতে না পেরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উমরের মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভমূলক পোষ্ট দিয়েছে। এতে তিনি বিবৃতি লিখেছেন, 'বি.জি. সেনের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার আমার ছেলে।সবাই আবার স্কুল শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া নম্বরে এ-প্লাস। কিন্তু আমার ছেলে বোর্ড পরীক্ষায় এ-প্লাস ও এছাড়া কোনো সাবজেক্টে বি পর্যন্ত পায়নি। কিন্তু স্কুলের দেওয়া নম্বরে পেল ডি।কিভাবে মেনে নিব।
এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলেন,স্কুলে এখন শিক্ষাকে সংঘবদ্ধভাবে স্যারে স্যারে ব্যবসার লীলাখেলার আসরে পরিণত করেছে।ভাগে না মিললে একজন আরেকজনের কথা বলে বেড়াই।কিছু স্যার মানসিকভাবে টর্চার করে রীতিমতো।বড় ডিগ্রিধারী হলেও শিক্ষার্থী পড়ার নেই বিন্দুমাত্র যোগ্যতা।অথচ দখল করে আছে স্কুলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদও।
প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন বলেন, 'ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে, আমি আবদুল কাইয়ুমের অবিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বোর্ডে একটি আবেদনও করতে বলি। আমি পুরো নম্বরই দিয়ে দেব।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ইনটেনশনালি শিক্ষকরা যদি এই কাজটা করে থাকে তাহলে খুব খারাপ হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো জানি না, তবে অভিযোগ দেখে আইনানুগ ব্যবস্থ্য নেওয়া হবে।