পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক কলহের জেরে সোহেল খাঁ ওয়াহেদ আলী (৩৫) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন(৪০) শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়ের পূজাঁ খোলা এলাকার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দম্পতি দশমিনা ২নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পূজা খোলা ভাড়া বাসায় পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ ও ডান পায়ের রান কেটে দেন। এসময় স্বামীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে এমন ঘটনা দেখতে পান। পরে গুরুত্বর অবস্থায় সোহেল খাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মিঠুন চন্দ্র উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে রোগীর শরীরের অবস্থার আরো অবনতি দেখে দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পালিয়েছে। অতপর পালিয়ে যাবার পথে ঐ গৃহবধূকে আটক এবং ঘটনার সময় ব্যাবহৃত ফল কাটা ছুরি ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া বাসায় থেকে ওই সোহেল মটর মেকানিক্সের কাজ করতো। উপজেলার দশমিনা গ্রামরর বেল্লাল খাঁর ছেলে সোহেল ও অভিযুক্ত সাবিনা ইয়াসমিন পাশাপাশি গ্রামের ছত্তার কাজীর মেয়ে।
এবিষয়ে দশমিনা থানার ওসি নূরুল ইসলাম মজুমদার এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার পর আলামত ও অভিযুক্ত গৃহবধূকে পুলিশ আটক করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এঘটনার বিচার দাবী করেন সোহেলের বাবা বেল্লাল খা।