তখন কলেজ কর্তপক্ষ বখাটেদের অভিভাবকদের ডেকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনা অভিভাবকদের অবহিত করার কারনে গতকাল ৭ ই জুন বাবু, রিয়াদ ও রাব্বির নেতৃত্বে কয়েকজন কলেজের লাইব্রেরীতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শিক্ষিকার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়।
হিজলা সরকারী ডিগ্রি কলেজের ছাত্রীদেরকে ইভটিজিংয়ের কবল থেকে রক্ষা করতে গিয়ে শিক্ষিকা নিজেই বখাটেদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। এ ঘটনায় হিজলা থানা পুলিশ ৫ ইভটিজারকে আটক করে। এ ঘটনায় আটককৃত ইভটিজারা হলেন খুন্না গৌবিন্দপুরের আয়নাল হাওলাদারের ছেলে (বহিরাগত) মোঃ আরিফ,হরিনাথপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামের মুনসুর সরদারের ছেলে আলআমিন,বড়জালিয়া ইউনিয়নের খোকন খানের ছেলে রায়হান,খুন্না গৌবিন্দ্রপুর গ্রামের সহিদ বেপারীর ছেলে মামুন ও কাঞ্চন সিকদারের ছেলে ইয়ামিন। ইভটিজিং কারী দলের মূল হোতা ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারীর ছেলে জুম্মন হোসেন বাবু সহ রিয়াদ ও রাব্বি এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে।
জানাযায়, গত ৫ই জুন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মেয়েদের কক্ষে সামনে উক্ত্যক্ত করলে রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সোনিয়া আহমেদ বাধা প্রধান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৬ ই জুন প্রভাষক সনিয়া আহমেদ কলেজে প্রবেশ করলে উক্ত্যক্তকারীরা কলেজের সিড়ির সামনে দাড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ঘটনাটি প্রভাষক কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তখন কলেজ কর্তপক্ষ বখাটেদের অভিভাবকদের ডেকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনা অভিভাবকদের অবহিত করার কারনে গতকাল ৭ ই জুন বাবু, রিয়াদ ও রাব্বির নেতৃত্বে কয়েকজন কলেজের লাইব্রেরীতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শিক্ষিকার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়।
শিক্ষিকা সোনিয়া আহমেদ এসব নোংরা ঘটনার সস্পর্কে সত্যতা স্কীকার করে বলেন রহস্যেজনক কারনে কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হিজলা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানায় বিষয়টি প্রশাসন কে জানানো হয়েছে। হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস মিয়া বলেন এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।পরে মুসলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।অভিযোগস পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।